Thursday 2 November 2017

রোজভ্যালি কাণ্ডে সিপিএম নেতা মন্ত্রীদের নাম আসতেই, রোজভ্যালির অফিসে চুরি হয়ে উধাও হয়ে গেল কম্পিউটার এবং জরুরি নথিপত্র

আগরতলা ২রা সেপ্টেম্বর (এ.এন.ই ): এক রহস্যজনক কাণ্ড ঘটল মঙ্গলবার রাতে রোজভ্যালির অফিসের 'সামনে। ধারনা করা হচ্ছে রোজভ্যালি কাণ্ডে রাজ্যের মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম সামনে আসতেই এই রহস্যজনক কান্ডটি ঘটল। রাজধানীর রোজভ্যালি অফিসে রহস্যজনক চুরি ঘটে। যদিও খবর পেয়ে পশ্চিম থানার পুলিশ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি কম্পিউটার, সিপিও উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে ধরা পড়েনি কোন চোর। এসব মালামাল উদ্ধারের পর পুলিশের দাবি এগুলো রোজভ্যালি অফিসের নয়। 'পুলিশ আরও জানায়, অন্যকোন জায়গা থেকে এসব সামগ্রী চুরি করে রোজভ্যালির সামনে রাখা হয়েছিল। যদিও পুলিশের তরফের থেকে জানানো হয়েছে তারা এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। প্রসঙ্গত রোজভ্যালি কাণ্ডে রাজ্য সরকার নিজে থেকে স্বীকার করে যে মন্ত্রীসভায় পাঁচ জন সদস্যের নাম রয়েছে। এমনকি এই কাণ্ডে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর নামও উঠে আসে। যার দরুন স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।

পুলিশ জানিয়েছে রোজভ্যালি বাড়িটি বর্তমানে সিল মারা রয়েছে। বাইরে থেকে ঝুলছে তালা। তাই চুরির খবর পেয়েও ভিতরে যাওয়া 'সম্ভব 'হয়নি। এসব মালপত্র রোজভ্যালি অফিসের ভিতর থেকে চুরির করা হয়েছিল কিনা তাও সঠিকভাবে বলতে পারছেনা পুলিশ। তবে এক্ষেত্রে পুলিশের প্রাথমিক ধারনা বাইরে থেকে যখন অফিসে তালা ঝুলছে তাই এই অফিসে চুরি হয়নি। অভিযোগ রোজভ্যালি কাণ্ডে যেখানে মন্ত্রিসভার সদস্যের নাম জড়িত সেখানে কম্পিউটার সিপিউতে মূল্যবান তথ্য থাকতে পারে। হয়তবা সেই জরুরি নথিপত্র গায়েব করার জন্যই চুরি হয়েছে। আর এই চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন সঠিক তদন্তের দাবি উঠছে বিরোধী মহল থেকে।

তথ্য : আগরতলা নিউজ এক্সপ্রেস

Wednesday 1 November 2017

মানুষটাকে না বাঁচিয়ে তাঁর ইন্টারভিউ নিতে ব্যস্ত সাংবাদিক!

সম্প্রতি ইন্টারনেটে ভাইরাল হচ্ছে একটি ছবি,যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি মানুষ অর্ধ পোড়া অবস্থায় রাস্তায় পরে কাতরাচ্ছে, আর সাংবাদিক ওনাকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে, ওনার ইন্টারভিউ নিতে ব্যস্ত।

ছবিটি বলা হচ্ছে ঝাড়খণ্ডের, যেখানে একজন মৃতপ্রায় ব্যক্তি রাস্তায় উড়ে কাতরাচ্ছে, আর সাংবাদিক নিজের অফিস ডিউটি পালন করছেন।

এখন প্রশ্ন একটাই! আমাদের মধ্যে কি মানবতা বলতে কিছুই বেঁচে নেই? সবাই কি নিজের কাজ নিয়ে এতই ব্যস্ত যে একজন মানুষ মরলো কি বাঁচলো সেটা দেখার সময় পর্যন্ত নেই আমাদের।

তবে ছবিটির সত্যতা আমরা যাঁচাই করিনি।

Monday 30 October 2017

৪৩১ পাকিস্তানি হিন্দুকে দীর্ঘমেয়াদী ভিসা, দেওয়া হবে প্যান ও আধার কার্ড

ওয়েবডেস্কঃ- ৪৩১ পাকিস্তানি হিন্দুকে ভারতে থাকার জন্য দীর্ঘমেয়াদী ভিসা দিল কেন্দ্র। এর ফলে, ওই নাগরিকরা এদেশে প্যান ও আধার কার্ড পাওয়ার যোগ্য হলেন। একইসঙ্গে, তাঁরা এদেশে জমি-বাড়িও কিনতে পারবেন।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্র—পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশে যে সকল সংখালঘুরা নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে আসছেন, তাঁদের সহায়তা করার অঙ্গীকার নিয়েছে মোদি প্রশাসন। এই তালিকায় রয়েছে—হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন এবং খ্রিষ্ট্রান সম্প্রদায়ের মানুষ।

গতমাসে ৪৩১ জন পাক হিন্দুদের এদেশে দীর্ঘমেয়াদী ভিসা দেওয়া হয়েছে। মোদী প্রশাসনের দেওয়া এই ভিসার ফলে ধর্মীয় কারণে পালিয়ে আসা ব্যক্তিরা নিজেদের থাকার জন্য জমি বা ফ্ল্যাট কিনতে পারবেন। পাশাপাশি, এই আগতরা এদেশে প্যান, আধার কার্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করাতে পারবেন। যাতে এঁদের কর্মসংস্থান হয় বা স্বরোজগার অথবা ব্যবসা করতে পারেন।

তবে, আইন অনুযায়ী, এঁরা সামরিক প্রতিষ্ঠানসহ সংরক্ষিত স্থানের নিকটে তাঁরা কোনও সম্পত্তি কিনতে পারবেন না।
-লাইভমিন্ট

এবার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিবেশী

ওয়েবডেস্কঃ- ডেঙ্গির সমস্যাতে জেরবার পশ্চিমবঙ্গ। ডেঙ্গি প্রতিরোধে প্রশাসনের উদাসীনতাও অনেক জায়েগাতে চোখে পড়েছে। ব্লিচিং-র জায়েগাতে আটা ছড়ানোর মত ঘটনাও সামনে এসেছে। ঐ এলাকার তৃণমূল দলের সাংসদ যদিও ডেঙ্গির প্রতিরোধ করতে অক্ষম প্রশাসন নয়ে, ডেঙ্গির জন্য ওপরওয়ালা-কেই দায়ি করেছেন। বিরোধি দল গুলো রোজই প্রায়ে এই জন্য মমতা বন্দোপাধ্যায়-কে দায়ী করছেন। মমতা বন্দোপাধ্যায় আবার ডেঙ্গির জন্য ভিন রাজ্য থেকে আসা মশাদের দায়ী করেছেন। বিজেপি থেকে ডেঙ্গি প্রতিরোধে ব্যর্থ বলে কলকাতার মেয়রকে ডেঙ্গিশ্রি বলে ব্যঙ্গও করেছে।

এসব বাদ বিতণ্ডার মধ্যেই সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর খবর। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পাড়াতেই এবার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলেন এক মহিলা। আক্রান্তের নাম রিঙ্কি দাশগুপ্ত, বয়স ৩২। রিঙ্কি দেবি থাকেন কালীঘাট রোডে যা মুখমন্ত্রীর বাড়ি হরিশ মুখার্জী স্ট্রীটের একদমই সামনে। পাড়ার লোকেরা জানিয়েছেন পূজার আগে এই পাড়ার বেশ কয়েকজন ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত হয়েছিল। পূজার পর রিঙ্কি দেবিই প্রথম যিনি ঐ পাড়াতে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলেন।

এলাকার কাউন্সেলর শ্রী রতন মালাকার এক বাংলা সংবাদ পত্রকে জানিয়েছেন, পাড়াতে আপাতত মাত্র একজনই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত, ডেঙ্গি প্রতিরোধের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আক্রান্তের বাড়িতে গিয়েছেন পুরকর্মীরা।

তবে মুখ্যমন্ত্রীর পাশের পাড়ার মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার পর তৃণমূল যে বেশ অস্বস্তিতে তা আর বলে বোঝানোর দরকার নেই। কিন্তু এখন দেখার বিষয় হল কতদিনে এই ডেঙ্গিকে নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম হয়ে তৃণমূল সরকার।

Saturday 28 October 2017

কেন বিদেশি বর্বর তুর্কিরা ধ্বংস করেছিল নালন্দা মহাবিদ্যালয়কে??

ওয়েবডেস্কঃ- পাল শাসনকালে বৌদ্ধধর্মের প্রথাগত মহাযান ও হীনযান সম্প্রদায়ে গোপন আচার-অনুষ্ঠান ও জাদুবিদ্যা-কেন্দ্রিক তান্ত্রিক ক্রিয়াকর্ম অন্তর্ভুক্ত হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে বৈষ্ণব ও শৈব দার্শনিকদের আবির্ভাব এবং ১১শ শতাব্দীতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পাল রাজবংশের রাজ্যচ্যুতির ঘটনা থেকেই বোঝায় যায় যে, সেই সময় বৌদ্ধধর্মের উপর রাজনৈতিক, দার্শনিক ও নৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়ছিল। কিন্তু সেই সময়ও ভারতের কয়েকটি বৌদ্ধ মঠের উত্থান বৌদ্ধধর্মের অস্তিত্ব বজায় রেখেছিল। খ্রিস্টীয় ১৩শ শতাব্দীতে মুসলমানেরা সেগুলি আক্রমণ করে। সেইটিই ছিল ভারতে বৌদ্ধধর্মের উপর শেষ আঘাত।

খ্রিস্টীয় ১৩শ শতাব্দীতে তুর্কি গোষ্ঠীপতি বখতিয়ার খিলজি অবধের সেনানায়ক নিযুক্ত হয়। ফারসি ইতিহাসবিদ মিনহাজ-ই-সিরাজ তাঁর তাবাকাত-ই-নাসিরি গ্রন্থে পরবর্তী কয়েক দশকে বখতিয়ার খিলজির লুটতরাজের বিবরণ নথিভুক্ত করেছেন। বিহার সীমান্তের দুটি গ্রাম খিলজির হাতে সমর্পিত হয়েছিল। এই গ্রামদুটি রাজনৈতিকভাবে কার্যত মালিকানাহীন অঞ্চলে পরিণত হয়। সুযোগ বুঝে খিলজি বিহারে লুটতরাজ শুরু করেন। তাঁর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাঁকে এই কাজের জন্য স্বীকৃতি ও পুরস্কার দুইই দেন। এতে উদ্বুদ্ধ হয়ে খিলজি বিহারের একটি দূর্গ আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন এবং সেটি দখল করতে সক্ষমও হন। এই দূর্গ থেকে তিনি প্রচুর ধনসম্পত্তি লুট করেন। তাবাকাত-ই-নাসিরি গ্রন্থে এই লুণ্ঠনের বিবরণ পাওয়া যায়:

"মুহাম্মদ-ই-বখত-ইয়ার সাহসের সঙ্গে খিড়কি দরজা দিয়ে সেই স্থানে প্রবেশ করেন, দূর্গটি দখল করেন এবং প্রচুর সামগ্রী লুট করেন। সেই স্থানের অধিকাংশ বাসিন্দাই ছিলেন ব্রাহ্মণ এবং এই সকল ব্রাহ্মণদের সকলেরই মস্তক ছিল মুণ্ডিত। তাঁদের সকলকে হত্যা করা হয়। সেখানে প্রচুর বই ছিল। বইগুলি দেখতে পেয়ে মুসলমানেরা কয়েকজন হিন্দুকে আদেশ দেয়, তারা যেন সেই বইগুলি সম্পর্কে তাদের তথ্য দেয়। কিন্তু সকল হিন্দুকেই হত্যা করা হয়েছিল। [বইগুলির বিষয়বস্তু সম্পর্কে] অবহিত হওয়ার পর জানা যায়, সেই দূর্গ ও শহরটি ছিল একটি মহাবিদ্যালয়। হিন্দুদের ভাষায় তাঁরা সেটিকে বলতেন একটি মহাবিদ্যালয় [مدرسه] বিহার।"

উপরিউক্ত উদ্ধৃতিতে একটি বৌদ্ধ মঠ (বিহার) ও তার ভিক্ষুদের (মুণ্ডিতমস্তক ব্রাহ্মণ) উপর আক্রমণের কথা বলা হয়েছে। এই ঘটনার সঠিক তারিখটি জানা যায় না। গবেষকদের মতে, এই ঘটনাটি ঘটেছিল ১১৯৭ থেকে ১২০৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী কোনও এক সময়ে। অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন, যে মঠটিকে দূর্গ বলে ভুল করা হয়, সেটি ছিল ওদন্তপুরা। 

তবে কয়েকজনের মতে, সেই মঠটি ছিল নালন্দা। এও মনে করা হয়, যেহেতু দুটি মহাবিহারই কয়েক মাইলের ব্যবধানে অবস্থিত ছিল, সেহেতু উভয়ের ক্ষেত্রেই একই ঘটনা ঘটেছিল। সেই যুগের অপর দুই মহাবিহার বিক্রমশিলা ও পরে জগদ্দল একই সময়ে তুর্কিদের হাতেই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

এই সময়কার ঘটনাবলির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবরণ হল তিব্বতি ভিক্ষু-তীর্থযাত্রী 'ধর্মস্বামীর' জীবনী। তিনি ১২৩৪ থেকে ১২৩৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ভারতে আসেন। ১২৩৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি যখন নালন্দা দর্শন করেন, তখনও এই মহাবিহারটি চালু ছিল। তবে লুণ্ঠিত নালন্দার অবস্থা তখন ছিল শোচনীয়। তুর্কি মুসলমানেরা নালন্দার অধিকাংশ ভবনেরই ক্ষতিসাধন করেছিল এবং সেগুলি ভগ্নপ্রায় অবস্থায় পড়ে ছিল। দুটি বিহার তখনও ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় ছিল। তিনি ধর্মস্বামী এই দুটি বিহারের নাম ‘ধনব’ ও ‘ঘুনব’ হিসেবে উল্লেখ করেন। সেখানে রাহুল শ্রীভদ্র নামে এক নবতিপর শিক্ষক ৭০ জন ছাত্রকে শিক্ষাদান করতেন। 

'ধর্মস্বামী' মনে করতেন, কুসংস্কারগত কারণে মহাবিহারটিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়নি। কারণ, নালন্দা চত্বরের জ্ঞাননাথ মন্দিরটি অপবিত্র করার পরেই এক মুসলমান সেনা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।

'ধর্মস্বামী' ছয় মাস রাহুল শ্রীভদ্রের কাছে নালন্দায় অধ্যয়ন করেন। কিন্তু তিনি নালন্দার ঐতিহাসিক গ্রন্থাগারটির কথা উল্লেখ করেননি। সম্ভবত তুর্কি আক্রমণের ফলে সেটি সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল। তবে তিনি নালন্দার উপর আরেকটি আক্রমণের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। নিকটবর্তী ওদন্তপুরা (অধুনা বিহার শরিফ) তখন একটি সামরিক প্রধান কার্যালয়ে রূপান্তরিত হয়েছিল। সেখানকার সৈন্যেরা নালন্দা আক্রমণ করেন। কেবলমাত্র 'ধর্মস্বামী' ও তাঁর শিক্ষকই রয়ে যান এবং তাঁরা লুকিয়ে পড়েন। অন্য ভিক্ষুরা নালন্দা ছেড়ে পালিয়ে যান। সমসাময়িক তথ্যসূত্রের সমাপ্তি এখানেই ঘটেছে। আর পরিস্কার ভাবে বোঝা যায়ে বিদেশ থেকে ভারত লুঠ করার মানসিকতা নিয়ে আগত বর্বর এবং শিক্ষার মর্ম বুঝতে অপারগ তুর্কি মুসলমানদের হাতেই ধ্বংস হয়ে তথকালিন পৃথিবীর বৃহত্তম মহাবিদ্যালয় নালন্দা।


তথ্যঃ- বাংলা উইকিপেডিয়া

ভাঙা হোক লেনিনের সব স্মৃতিসৌধ, চাইছে খোদ রুশ বাসিন্দারা

 
প্রতিকি ছবি

ওয়েবডেস্কঃ- রেড স্কয়ারে কমিউনিস্ট নেতা ভ্লাদিমির লেনিনকে আর দেখতে চান না তারা। তাদের কথা মত, লেনিনের দেহ এবং মূর্তি গুলোকে কে রেড স্কয়ার থেকে সরিয়ে দিলেই ঈশ্বরের আশীর্বাদ পাবে রাশিয়াবাসি। শুধু তাই নয়, রাশিয়া জুড়ে তৈরি লেনিনের স্মরণে নির্মিত সৌধগুলোও ভেঙে ফেলার দাবি করা হয়েছে।


এমন দাবি করেছে রাশিয়ান খ্রিস্টানদের একটি সংগঠন "দ্য রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চ আউটসাইড রাশিয়া" বা  রোকর। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম রাশিয়ান টাইমস (আরটি) এই সংবাদটি প্রকাশি হয়েছে।


রাশিয়ার রাজধানীর মস্কোর প্রাণকেন্দ্র রেড স্কয়ার। এ এলাকাটির সঙ্গে জুড়ে আছে নানা ইতিহাস। এ এলাকাতেই রাখা আছে মানব ইতিহাসের প্রভাবশালী নেতাদের একজন ভ্লাদিমির লেনিনের দেহ। তবে লেনিনকে আর রেড স্কয়ারে চায় না ওই রাশিয়ানদের ঐ সংগঠনটি।


রোকর দেওয়া বিবৃতিতে লেনিনকে ‘বিশ শতকের উৎপীড়ক, নির্যাতনকারী’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। তাঁর স্মৃতিতে নির্মিত সৌধগুলো নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার দাবি করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এর মাধ্যমেই রাশিয়ার মানুষ ঈশ্বরের সঙ্গে মিলতে পারবে।’ 'রোকর' একটি প্রায় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। ১৯১৭ সালে রুশ বিপ্লবের পর তা প্রতিষ্ঠিত হয়। 

রেড স্কয়ারে লেনিনের দেহ থাকা না থাকা নিয়ে অনেক আগেই বিতর্ক শুরু হয়। তবে নভেম্বর বিপ্লবের শতবার্ষিকীর আগে বিষয়টি আবার উসকে দেওয়া হল।


গত বছর রাশিয়ার সরকারের একটি সার্ভে প্রতিষ্ঠান ওই বিষয়টি নিয়ে সার্ভে করে। সেখানে দেখা যায় ৬০ শতাংশ রাশিয়ানই চান লেনিনকে এবার সমাহিত করা হোক।  সরানো হোক রেড স্কয়ার থেকে। ৩৬ রাশিয়ান শতাংশ মনে করেন আরো কিছু সময় অপেক্ষা করা যায়; অন্তত আরেকটা প্রজন্ম দেখুক। বাকিরা চান ক্রেমলিনের কাছে সমাধিক্ষেত্রে রাখা হোক।

সোনিয়া গান্ধীর উপদেষ্টার ISIS জঙ্গিকে মদত, অভিযোগ অস্বীকার কংগ্রেসের

ওয়েবডেস্কঃ- গুজরাতের প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা এবং সোনিয়া গান্ধীর উপদেষ্টা আহমেদ প্যাটেল যে হাসপাতালের ট্রাস্টি ছিলেন, সেই হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ান পদে কাজ করা এক ব্যক্তিকে ISIS জঙ্গি যোগের অভিযোগে গ্রপ্তার করেছে গুজরাত পুলিশ। গত শুক্রবার এমনটাই দাবি করলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। অভিযুক্তকে ওই হাসপাতাল থেকেই ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও আহমেদ প্যাটেল কিংবা কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীর ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি, ডিসেম্বরে ভোটে তাই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে মেরুকরণের চেষ্টা করছেন। ISIS জঙ্গিদের সঙ্গে কংগ্রেস তথা আহমেদ প্যাটেলের নাম যোগ করা হচ্ছে।
গুজরাটের আহমেদাবাদ শহরে বসবাসকারী ইহুদী দের ধর্মীয় স্থান "আব্রাহাম সাইনাগগে" হামলার প্রস্তুতির নিচ্ছিল  কাসিম স্টিম্বারওয়ালা এবং উবেইদ বেগ নামক দুই যুবক। দিন তিনেক আগে এই দুজনকে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিশের অ্যান্টি টেরর স্কোয়াড। পুলিশের তরফ থেকে আদালতে জানানো হয়েছে, ধৃত কাসিম স্টিম্বারওয়ালা এবং উবেদ বেগ হামলার জন্য পিস্তল কেনার চেষ্টা চালাচ্ছিল। 
ISIS জঙ্গি যোগে অভিযুক্ত কাসিম স্টিম্বারওয়ালাই আঙ্কেলেশ্বরের "সর্দার প্যাটেল হাসপাতাল"-র ইকো কার্ডিওগ্রাম টেকনিশিয়ান হিসাবে কাজ করতো। সেই হাসপাতালের ট্রাস্টি বোর্ডের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন কংগ্রেস নেতা এবং সোনিয়া গান্ধীর উপদেষ্টা আহমেদ প্যাটেল। পুলিশ জানিয়েছে "আব্রাহাম সাইনাগগে" আক্রমণ চালিয়ে জামাইকা পালিয়ে যাওয়ার জন্য ওয়ার্ক ভিসাও যোগার করেছিল সে। 
যদিও কংগ্রেস এই সব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। আহমেদ প্যাটেলের সঙ্গে সব রকমের জঙ্গি(ISIS) যোগকে অস্বীকার করে তাদের দাবি, ধৃতের বিরুদ্ধে খুব তাড়াতাড়ি তদন্ত শুরু করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। 
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, গ্রেফতার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি বলেন, আহমেদ প্যাটেলের পদত্যাগ করা উচিত। তিনি বলেন, যদি এই দুজন জঙ্গিকে গ্রেফতার না করা হত, তাহলে কী অবস্থা হতো, চিন্তা করে দেখুন। এই বিষয়ে আহমেদ প্যাটেল, রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসকে তাঁদের বক্তব্য পরিষ্কার করা উচিত বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি।
loading...
loading...